বিয়ের সিদ্ধান্ত:

আসলে  বিয়ে করাটা প্রত্যেক নর-নারীর নিজস্ব অধিকার।আর বিয়ে না করতে চাইলে বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিতে পারে না। এখন আর সে জামানা নেই। জোর করে বিয়ে দেওয়া সম্ভবই না। মা বাবা হয়তো বলেন যে, জোর করে বিয়ে দেবো। কিন্তু মা-বাবাদের এত বোকা মনে করা উচিত না যে, তারা জোর করে বিয়ে দেবেন। এটা হচ্ছে একটা মানসিক চাপ, যেন সন্তান বিয়ে করতে রাজি হয়। নিজের ইচ্ছা ছাড়া জোর করে কাউকে বিয়ে দেওয়া অনুচিত।

এখন আমাদের দেশে নারী অধিকার রক্ষার জন্য অনেক রকম ব্যবস্থা আছে। অতএব ঘাবড়ে যাবেন না ।মা বাবাকে বোঝান যে কেন আপনি এখনি বিয়ে করতে চান না। কারণ টা যদি যুক্তিযুক্ত হয় তাহলে আপনার মা-বাবা অবশ্যই বুঝবেন।

আর এমন হয়, একজন সহপাঠীর অন্যজন সহপাঠীর প্রতি দুর্বলতা আছে,তাহলে তাকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সময় দেওয়া দরকার। তারপর যদি মা-বাবাকে বিয়ের কথা বলেন তাহলে  মা-বাবা কেউ রাজি হবেন না। কোন মা বাবার ই রাজি হওয়া উচিত নয়। কারণ একটা ছেলে ৪০ বছরে বিয়ে করতে পারবে কিন্তু একটা মেয়েকে যদি অপেক্ষা করতে হয়।তাহলে বিয়ের নিশ্চয়তা কী? 

শেষ পর্যন্ত কিন্তু ভোগান্তি টা মা বাবারই হবে।

অতএব কেন বিয়ে করবো না,এটা নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে। একই সাথে সেটার জন্য অবশ্যই যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে হবে ।আবার, এক জনকে পছন্দ করি এবং এজন্য আমি এখন বিয়ে করবো না, এটা তো একটা অনিশ্চিত ব্যাপার।

 এমন ঘটনাও আছে যে মেয়ে নিজের পয়সা দিয়ে ছেলেকে পড়িয়েছে, অপেক্ষা করেছে, তারপর যেই পড়াশোনা করে সেই ছেলের ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে, ভালো রেজাল্ট করেছে তখন অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে ।

আপনি এরকম বোকামি করবেন না যদি কোন সত্যিকারের কারণ থাকে যে আমি এখন পড়াশোনা করছি, আমি নিজের পরিচয় সৃষ্টি করতে চাই সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু কোন ছেলের জন্য অপেক্ষা করে বিয়ে করতে দেরি করবেন না।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES